আজকার প্রায় সকল মানুষই অ্যাসিডিটি সমস্যায় ভোগেন।খাবারেরে অনিয়ম,ফাস্ট ফুড, ভাজাপোড়া খাবার, অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার, বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কারণে অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়ে থাকে।চোয়াঁ ঢেকুর,পেট ফাপাঁ,বুক ও গলা জ্বালাপোড়া,বাদ হজম এসব প্রায়ই অ্যাসিডিটির লক্ষণ হিসেবে দেখা যায়। বর্তমানে প্রতিটি ঘরেই এক পাতা গ্যাসের ঔষধ দেখতে পাওয়া যাবে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ঔষধ আর তেমন কাজ করে না।
অ্যাসিডির সমস্যা থেকে বাচতেঁ হলে দরকার প্রতিরোধ। আমরা বিভিন্ন নিয়ম মেনে চললে এর হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি।আপাত দৃষ্টিতে অ্যাসিডিটি শুধু অস্বস্তিকর মনে হলেও দীর্ঘমেয়াদি হলে আমাদের শরীরে আরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অ্যাসিডিটি থেকে রক্ষার উপায়:
১। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা যাবে না। আমাদের পেট খালি থাকলে অ্যাসিডির সমস্যা দেখা দেয়। তাই অবশ্যই কিছু না কিছু খেতে হবে।
২। তেলযুক্ত, মশলা যুক্ত, ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষকরে বাহিরের অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করতে হবে।
কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে আমরা অ্যাসিডিটির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি।যেমন:
✔ প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।আমাদের হজম এমন পরিপাকের জন্য পানি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নিয়মিত পানি পান করলে আমরা অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে রক্ষা পাবো।
✔ এ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিলে আমরা তুলসী বা পুদিনার পাতা চিবিয়ে কিংবা পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারি। তুলসী বা পুদিনা পাতা পেটের জ্বালা পোড়া কমিয়ে শরীরে সতেজ ভাব আনে।
✔ আদা আমাদের হজমে অনেক সাহায্য করে।আদাতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান আমাদের অ্যাসিডিটির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। অ্যাসিডির সমস্যা দেখা দিলে
✔ সামান্য পরিমাণ আদা কুঁচি চিবিয়ে কিংবা গরম পানির সাথে সিদ্ধ করে খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়।বিভিন্ন ফল যেমন পেপেঁ,কলা ইত্যাদিও অ্যাসিডির সমস্যা দূর করতে পারে।

৩।ধূমপান, মাদকদ্রব্য, ও অ্যালকোহল আমাদের শরীরের বিভিন্ন ক্ষতির পাশাপাশি হজমেও ব্যঘাত ঘটায়।এসব গ্রহন করলেও অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে।এসব বর্জন করে চাল উচিৎ।
৪। খালি পেটে কখনোই ক্যাফেইন যুক্ত খাবার, লেবু,কমলা,কলা ও কোমল পানি জাতীয় খাবার গ্রহন করা যাবে না।
৫।সবসময়, সুষম খাবার গ্রহন করতে হবে।আর যতা সম্ভব খাবার চিবিয়ে খেতে হবে।
৬। নিয়মিত ও পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম ও শারীরিক ব্যায়াম অ্যাসিডি থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে।
৭। সঠিক জীবনযাপন অর্থাৎ সময় মত ঘুম থেকে উঠা।সময়ের খাবার সময়ে গ্রহণ করা। এসব নিয়ম মেনে চললেও আমরা অ্যাসিডির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি।
৮।নিয়মিত দুধ পান করলেও আমরা অ্যাসিডিটি থেকে রক্ষা পেতে পারি
কোনো অবস্থাতেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করা যাবে না।বিভিন্ন ঔষধ আমাদের পাকস্থলীর বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করতে পারে। অ্যাসিডির হাত থেকে রক্ষা পেতে আমরা এসব নিয়ম মেনে চলতে পারি।ঔষধ খেলে সাময়িক সময়ের জন্য মুক্তি মিললেও ঘুরেফিরে অ্যাসিডিটি আবার ফিরে আসে। এসব নিয়মিত মেনে চলে আমরা দীর্ঘকালের জন্য অ্যাসিটির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি।