তীব্র কাঠফাটা গরমেও একটু শান্তি মিলবে যেভাবে

বৈশাখ মাস শেষে শুরু হয়েছে জৈষ্ঠ্য মাস।দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে তীব্র গরম।বিভিন্ন স্থানের তাপমাত্রা চল্লিশ  ডিগ্রি  সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। এই গরমের ফলে অসুস্থ হয়ে পরছে হাজারো মানুষ। শিশু এবং বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। এই গরম থেকে বাঁচতে আমরা বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলতে  পারি। 

Image by Freepik

গরম থেকে রক্ষা পেতে আমরা যে সব নিয়ম মেনে চলতে পারি

১।  গাঢ় রঙিন এবং ভারী পোষাক এড়িয়ে চলে পাতলা এবং হাল্কা রঙ এর ঢিলেঢালা পোষাক পরতে পারি। এসব পোষাক  গরমের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে পাশাপাশি অনেক আরাম দায়ক।

২।সরাসরি রোদে বাড়ির বাহিরে যাওয়া এড়িয়ে চলতে পারি। বিশেষ করে দুপুর ১২ টা থেকে বেলা ৩ টা পর্যন্ত সরাসরি রোদে যাবো না। বাহিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছাতা  টুপি এবং রোদচশমা ব্যবহার করতে পারি।

৩। গরমে পানি শূন্যতা থেকে রক্ষা পেতে অতিরিক্ত পানি পান করতে পারি। এছাড়াও শরীর আর্দ্র রাখতে ডাবের পানি,শরবত, লাচ্ছি, লেবু পানি,দই প্রভৃতি খেতে পারি।

৪।বাহিরে গেলে  অবশ্যই সাথে পানি রাখতে পারি। স্যালাইন পানি রাখলে আরও ভালো হয়। স্যালাইন পানিতে থাকে সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও চিনি যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। 

৫।দিনে অন্তত দুইবার ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে পারি, যার মাধ্যমে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

৬।গরমে ভাজাপোড়া, ভারি তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে পারি। প্রচুর পরিমাণে শাক সবজি খেতে পারি। এবং গরম কালের সতেজ ফল খেলেও আমাদের শরীর অনেকটা ভালো থাকবে।

৭। ঘর যাতে ঠান্ডা থাকে এবং ঠিক মতন বাতাস চলাচল করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে পারি।এজন্য ঘরের জানালার  পর্দা ব্যবহার করতে পারি যাতে সূর্যের আলো ঘরে প্রবেশ  না করতে পারে। 

৮।পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং বিশ্রাম গ্রহণ করতে পারি। গরমের সময় আমাদের শরীর সচারাচরের চেয়ে অনেক বেশি ক্লান্ত থাকে। তাই শরীরের বিশ্রাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ এই সময়।

৯। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে বাচাতেঁ বাহিরে যাওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারি। এছাড়াও বাহির থেকে বাড়িতে গিয়ে অবশ্যই হাত মুখ ভালো করে ধূয়ে ফেলতে পারি সম্ভব হলে অবশ্যই গোসল করতে পারি এতে আমাদের ত্বক ভালো থাকবে

১০। এছাড়াও গরমের বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে সচেতন থাকতে পারি।   প্রসাবের রঙ খেয়াল করে যদি বুঝতে পারি সমস্যা তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারি।

গরমে দীর্ঘ সময় বাহিরে না থাকাই ভালো।  গরমে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে।এছাড়াও অতিরিক্ত গরমে হতে পারে হিটস্ট্রোক।  হিটস্ট্রোক হলে রোগীকে গরম থেকে সরিয়ে পোষাক ঢিলেঢালা করে দিতে হবে। গায়ে ঠান্ডা পানি এবং বরফ লাগাতে হবে। শরবত এবং  বিশুদ্ধ পানি খাওয়াতে হবে। অবস্থার উন্নতি না হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। গরমরে বেশি বেশি ঝুঁকিতে থাকে বাড়ির শিশু এবং বয়স্করা তাদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে এবং যত্ন নিতে হবে। অসুস্থ কেউ থাকলে তার ঠিক মতন যত্ন নিতে হবে। সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সচেতন থাকলে এই গরমরে তীব্র তাপদাহ থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের দেশসহ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই  তাপ প্রদাহের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই তাপপ্রদাহ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের  পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে এবং বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। একমাত্র পরিবেশ দূষণ রোধ এবং সামাজিক বনায়নের  মাধ্যমেই আমরা বৈশ্বিক উষ্ণতা দ্রুত কমিয়ে ফেলতে পারি। 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন